ভাঙন অব‍্যাহত পদ্ম শিবিরে : ১৫০০ জন যোগ দিলেন জোড়াফুল শিবিরে

4th July 2021 6:22 pm বাঁকুড়া
ভাঙন অব‍্যাহত পদ্ম শিবিরে : ১৫০০ জন যোগ দিলেন জোড়াফুল শিবিরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের শক্তিক্ষয় গেরুয়া শিবিরের । রবিবার পাত্রসায়রের কুশদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৫২০ টি পরিবারের ১৫০০ জন বিজেপি ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে । তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি যারা তৃণমূলে যোগদান করেছে তারা কেউ বিজেপি কর্মীই নয় তৃণমূল নিজেদের কর্মীদেরই যোগদান করাচ্ছেন ।

বিজেপি ত্যাগী ঐসব মানুষের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা সহ অন্যান্যরা। একই সঙ্গে এদিন দলে যোগদানকারী মহিলাদের নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়েও দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। এমন ছবিও ধরা পড়লো উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ক্যামেরায়। 
   
প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র ও ইন্দাস বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে এই পাত্রসায়র এলাকা। এই দুই লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে। তারপরেও নিজেদের কর্মী সমর্থকদের ধরে রাখতে ব্যর্থ পদ্ম শিবির ।

বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ডক্টর শ্যামল সাঁতরা বলেন আজ কুশদ্বীপ অঞ্চলে 520 টি পরিবারের বিজেপির দলীয় পতাকা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন । এদিন তিনি কটাক্ষ করে বিজেপির হেভিওয়েট নেতৃত্বের বলেন ভোটের আগে যে সমস্ত বিজেপি নেতারা ভোটের সময় ডেলি প্যাসেঞ্জার ই করছিল বাংলার বুকে ভোটের পরে তাদের আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ।

তৃণমূলের যোগদান পর্ব নিয়ে ইন্দাস বিধানসভা বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা বলেন তৃণমূল মিথ্যা অপপ্রচার করছে কোন বিজেপি কর্মী তৃণমূল দলে যোগদান করেনি ওরা নিজেরা নাটক বাজি করছে তিনি আরো বলেন প্রচারে আসার জন্য তৃণমূল নিজেদের কর্মীদেরই যোগদান করাচ্ছেন ।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।